মঙ্গলবার, ০৩ Jun ২০২৫, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
নগরীতে চাঁদাবাজি মামলায় বিএনপি যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের ৭ নেতা কর্মী জেলহাজতে প্রেসিডেন্ট জিয়া ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অনুপ্রেরণা || ফয়েজ খান কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের অনির্দিষ্টকালের কর্ম বিরতির ঘোষণা বাউফলে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করলেন বরিশালের মুখ্য সংগঠকসহ তিন নেতা কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত কলাপাড়ায় সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, নদী ভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ পটুয়াখালী ড্রাইভারস এন্ড সঃ-কঃ- কল্যান কো-অঃ ক্রেঃ ইউঃ লিঃ এর ৩৭’তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজে ‘সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে দুমকিতে (এইচবিবি) প্রকল্পের কাজে অনিয়ম দূর্নীতি-(ইউএনও)-(পিআইও) এর নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ উফলে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ও মাতৃত্ব দিবস পালিত সাংবাদিক সোহেলের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরনের প্রতিবাদ ও ইউএনও অপসারনের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় বৃদ্ধকে কোপানোর ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি কলাপাড়ায় দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা কলাপাড়ায় নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে জেলে বধূর মৃত্যু
বঙ্গবন্ধু উদ্যানে শতবর্ষী রেইন-ট্রি গাছটি এখন মৃত

বঙ্গবন্ধু উদ্যানে শতবর্ষী রেইন-ট্রি গাছটি এখন মৃত

Sharing is caring!

এস এল টি তুহিন: বরিশাল মহানগরীতে আরো একটি শতবর্ষী রেইন-ট্রি গাছ মারা যাচ্ছে। নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান বা বেল পার্কের উত্তর প্রান্তে বিশাল আকৃতির গাছটি দীর্ঘদিন এ উদ্যানে বেড়াতে আসা সবাইকে ছায়া দিয়ে রেখেছে। নজর কেড়েছে সব আগন্তুকের। ১৯৯৮ সালে গাছটির গোড়ায় চার পাশ বাধাই করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে সেটি সংস্কার করে আরো দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। কিন্তু কালের স্বাক্ষী শতবর্ষী এ গাছটি এখন মৃত্যু পথযাত্রী।

১৯০৩ সালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ থেকে জেলা সদর বরিশাল শহরে স্থানান্তরের পরে বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠে তৎকালীন বেল পার্ক সংলগ্ন রাজা বাহাদুর রোড। তখন বেল পার্ক ও রাজাবাহাদুর রোডের পাশে বেশ কিছু রেইন-ট্রি গাছ লাগানো হয়েছিল। ক্রমে তা দৃষ্টনন্দন হয়ে উঠলেও অযত্নে-অবহেলায় গত দুই দশকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে এবং বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনের দক্ষিণ পাশের বেশ কিছু রেইন-ট্রি গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে ।

বঙ্গবন্ধু উদ্যানের ভেতরে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সালে সিটি করপোরেশন থেকে বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষরোপন করা হলেও এর বাইরের গাছগুলোর প্রতি কারো নজর নেই। গণপূর্ত অধিদফতরের মালিকানাধীন বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ইতোপূর্বে ওয়াকওয়েসহ সব ধরনের স্থাপনা নির্র্মাণ করেছে গণপূর্ত অধিদফতর। কিন্তু উদ্যানটি ব্যবহারের অনুমোদনসহ সার্বিক দেখভাল করছে জেলা প্রশাসন। আবার বাতিসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটি করছে সিটি করপোরেশন।

এ ত্রিমুখী ব্যবস্থাপনায় উদ্যানটির সার্বিক উন্নয়নসহ এখানের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে কারো দায় নেই বলে মনে হচ্ছে। যেকোন সমস্যার কথা তুলে ধরলে তখন এক দফতর অন্য দফতরের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে।

সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু উদ্যানের শতবর্ষী এ রেইন-ট্রির বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন বলে জানিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। বরিশালের বন সংংরক্ষক তাদের সৃজিত বাগানের বাইরের কোন গাছ গাছালির ব্যাপারে কিছু করণীয় নেই বলে জানান। জেলা প্রশাসকের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে এ ব্যাপারে যা কিছু করা সম্ভব তা করবেন বলে জানিয়েছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD